Mitrangshu Pinaki
একটি Homeo-Pathetic পোস্ট
#
প্রসাদ হইল দেবতাকে দেওয়া পবিত্র খাবার। হিন্দু তীর্থযাত্রীরা বিভিন্ন তীর্থস্থান হইতে সেই প্রসাদের টুকরো আনিয়া দিলে আত্মীয়, প্রতিবেশীরা পূণ্যের ভাগ পাইত। তাই প্রসাদ অতি দুর্লভ বস্তু। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী 10 কোটি পশ্চিমবঙ্গবাসীকে তাহার প্রতিষ্ঠিত দীঘার জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ খাওয়াইবেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গবাসী ছাড়া অন্য কেহ, যাহারা তাহাকে ভোটদানের সুযোগ হইতে বঞ্চিত, তাহারা এই প্রসাদ লাভের অধিকারী নহে। প্রত্যেক বঙ্গবাসী পাইবেন 80 গ্রাম মহাপ্রসাদ (20 গ্রাম পেঁড়া + 60 গ্রাম গজা)। বিতরণের সময় চুরি ঠেকাইবার জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্পের আধিকারিকদের কড়া প্রহরায় রাখা হইবে। তাহা সত্ত্বেও দু'একটি পেঁড়া তৃণমূলীরা চুরি করিয়া খাইবে না তাহা হইতেই পারে না। তথাপি এক গ্রামও মহাপ্রসাদ চুরি হইবে না ধরিয়া অঙ্ক কষিয়া রাজ্যের মেধাবী আইএসগণ নির্ণয় করিয়াছেন মোট 80,00,000 কেজি প্রসাদ লাগিতেছে। এতো পরিমাণ মিষ্টান্ন কী উপায়ে দীঘায় প্রস্তুত করিয়া জগন্নাথদেবের সম্মুখ নিবেদন করা সম্ভব? মন্ত্রীগণ তো দূর, ইন্ডিয়ান স্ট্যাটাসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের মহাপণ্ডিত অভিরূপ সরকারও মহা চিন্তিত। কিন্তু যথাপূর্ব এই মহা সমস্যারও সমাধান করিয়াছেন সেই একজনই, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
এক্ষেত্রে তিনি হোমিওপ্যাথির জনক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর বিখ্যাত "ডাইনামাইজেশন" বা "পোটেনটাইজেশন" তত্ত্ব ব্যবহার করিলেন। এই তত্ত্ব অনুযায়ী প্রথমে 100 গ্রাম ক্ষীর জগন্নাথদেবের সম্মুখে রাখিয়া মাদার টিংচার বানাইতে হইবে। ঐ 100 গ্রাম মাদার টিংচার 10 কেজি ময়দার মধ্যে মিশাইয়া জোরে জোরে ঝাঁকুনি দিলে (সাকশন) ঐ প্রসাদের পরিমাণ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাইবে। ইহাকে C-পোটেন্সি বলে। এরপর ঐ মিশ্রণের 100 গ্রামের একটি প্যাকেট লইয়া তাহাকে আরো 10 কেজি ময়দায় মিশ্রিত করিয়া জোরে ঝাকুনি দিলে মিশ্রণটি হইল C-2। ইহাতে প্রসাদের কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি পাইল। এই প্রক্রিয়া তিরিশবার করিলে যে উপাদান পাওয়া যাইবে তাহার দ্বারা প্রস্তুত পেঁড়া ও গজাকে বলা হইবে মহাপ্রসাদ C-30। হ্যানিম্যানের তত্ত্ব অনুযায়ী ডাইল্যুশন যতো বাড়িবে প্রসাদের পূণ্যদানের ক্ষমতা ততো বৃদ্ধি পাইবে। সুতরাং দীঘার মন্দিরের 100 গ্রাম ক্ষীরপ্রসাদ হইতে 8000,00,000 গ্রাম মহাপ্রসাদ প্রস্তুত করিলে হ্যানিম্যানের তত্ত্ব অনুযায়ী সেই মহাপ্রসাদের কার্যকারিতা অনেক বেশি। পুরোহিতভাতা ও দুর্গাপূজার অনুদান দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের সামান্য উপকার অপেক্ষা প্রসাদ বৃদ্ধি ও প্রসাদের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে মাননীয়ার এই আবিষ্কার হিন্দুধর্মের প্রতি একটি মৌলিক অবদান হিসাবে চিরকাল স্মরণীয় হইয়া রহিবে। নিন্দুকের মুখে ছাই ঢালিয়া এই মহাপ্রসাদ "মমতার প্রসাদ" হিসাবে জগৎজোড়া প্রসিদ্ধি লাভ করিবে ! আমাদের ননবায়োলজিক্যাল প্রধানমন্ত্রীকে দেবত্ব লাভের দৌড়ে এখন কয়েক কদম পশ্চাতে ফেলিয়াছেন উনি ! দুর্গ, দুর্গা !
* সংগৃহীত
Priyanshu Rai
परित्राणाय साधूनां विनाशाय च दुष्कृताम्।
Jayendra singh
(owner)
कोरोना काल में आपकी प्राथमिकता होनी चाहिए की आप कैसे स्वयं को सुरक्षित रख सकते हैं। कोरोना से जुड़ें सभी सुरक्षा नियमों का पालन करें और अपनों से भावनात्मक तरह से जुड़ें रहें।
Rahul Pandey
इस ऐप को अधीक से अधीक लोगों को शेयर करे और फेसबुक को बैन करवाना हैं।
जय भारत